Previous
Next

Tuesday, May 15, 2018

রাশিয়া ফুটবল বিশ্বকাপে ভেন্যু পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে এক বাংলাদেশি

রাশিয়া ফুটবল বিশ্বকাপে ভেন্যু পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে এক বাংলাদেশি

এক মাস পরেই রাশিয়াতে শুরু হবে ফুটবল বিশ্বকাপ। খেলা হবে ১২টি ভেন্যুতে। ভেন্যুগুলোর পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পেয়েছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের মহিলা কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ। 
বিশ্বকাপে খেলা বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য অলীক স্বপ্ন। মাঠের খেলায় বাংলাদেশ যতই পিছিয়ে থাকুক, সাংগঠনিক দিক দিয়ে বাংলাদেশের কর্তারা যে মোটেও পিছিয়ে নেই মাহফুজা আক্তার কিরণ তাঁর প্রমাণ। তিনি ফিফার নির্বাহী কমিটিরও সদস্য। বিশ্বকাপে তাকে দুটি বড় দায়িত্ব দিয়েছে বিশ্ব ফুটবল সংস্থা ফিফা।
সব কটি ভেন্যু পর্যবেক্ষকের সঙ্গে অন্যতম ভেন্যু ইয়েকাতেরিনবার্গের শুভেচ্ছাদূত করা হয়েছে তাকে। বিশ্বকাপে থাকবেন বলে ভীষণ রোমাঞ্চিত কিরণ, ‘আমাকে দুটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিয়েছে ফিফা। প্রথমত প্রতিটি ভেন্যুর পর্যবেক্ষক হিসেবে কাজ করব। আর বিশেষ একটি ভেন্যু ইয়েকাতেরিনবার্গে অ্যাম্বাসেডর হিসেবে থাকব। বাংলাদেশের জন্য এটা বড় সম্মানের একটা ব্যাপার।’ কিরণ রাশিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন ৮ জুন।
রাশিয়া বিশ্বকাপে আরও একটি দিক দিয়ে থাকবে বাংলাদেশের উপস্থিতি। বিশ্বকাপ উপলক্ষে মস্কোতে ২১১টি দেশের খুদে প্রতিনিধিদের নিয়ে শুরু হবে ফুটবল উৎসব। গ্যাজপ্রম ইন্টারন্যাশনাল চিলড্রেনস সোশ্যাল প্রোগ্রাম নামের এই উৎসবে ৩২টি দলে ভাগ হয়ে খেলবে খুদে খেলোয়াড়েরা। সেখানেই ডিফেন্ডার হিসেবে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবে ১২ বছর বয়সী নারায়ণগঞ্জের গোলাম রাফি। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন আয়োজিত খেলোয়াড় বাছাই পরীক্ষায় ২০০ জন ডিফেন্ডারের মধ্যে সেরা হয়েই মস্কোর টিকিট পায় সে। একই প্রোগ্রামের অধীনে রাশিয়া ও সৌদি আরবের মধ্যকার বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচটিও দেখবে রাফি।

সুত্র - প্রথম আলো। 

Saturday, May 12, 2018

ড্যাফোডিলের সম্মানই তো আমার সম্মান-- ইসলাম উদ্দিন

ড্যাফোডিলের সম্মানই তো আমার সম্মান-- ইসলাম উদ্দিন

ড্যাফোডিলের সম্মানই তো আমার সম্মান-- ইসলাম উদ্দিন
পৃথিবীতে কিছু মানুষ থাকে, যারা শুধুই ছুটেন নিজের স্বপ্নের পিছে। কিছু মানুষ থাকে, যারা বারবার হেরে গিয়েও আশায় বুক বাঁধেন বিজয়ের। যারা কখনোই শুনতে চান না হতাশার গল্প, এমন একজন মানুষ যিনি... তাঁর ফেলে আসা জীবনের সবটা সময় কাটিয়েছেন... আর এখনো হৃদয় দিয়ে আগলে ধরে রেখেছেন ভালোবাসার ক্রিকেটকে। বলছি, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড-বিসিবি’র ১ম শ্রেণীর ফিটনেস ট্রেইনার ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ক্রীড়া প্রশিক্ষক মোহাম্মদ ইসলাম উদ্দিনের কথা।
১৯৯৯ সালে ৭ম শ্রেণীতে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান-- বিকেএসপি দিয়ে ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরু, ড্যাফোডিলের হাজারো শিক্ষার্থীর স্পোর্টস গুরু মি. ইসলামের। ছোট বেলার তার ছোট্ট স্বপ্নের পিছনে ছুটছেন প্রায় ১২ বছরের বেশি সময়। যেখানে তিনি খেলেছেন দেশের স্বনামধন্য ক্লাবে... যার দৃশ্যমান পদচারণা ছিল প্রিমিয়ার লীগেও।
বিকেএসসি থেকে এইচএসসি শেষ করার পর বিসিবি’র এই ফিটনেস প্রশিক্ষক উচ্চ শিক্ষার জন্য ভর্তি হন ইউল্যাব ইউনিভার্সিটিতে। ইউল্যাব থেকে জার্নালাইজম ডিপার্টমেন্টে ¯œাতক পড়াশুনা শেষে তিনি ¯œাতক্তোর করেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে। সময়ের পালা বদলের সাথে সাথে পারিবারিক কারণে এরই মধ্যে ড্যাফোডিলের এই প্রশিক্ষক ইতি টানেন তাঁর খেলুড়ে জীবনের। তবে, হৃদয়ের এই ক্রিকেট থেকে পারেন নি সরে আসতে; তাই তো আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ নিয়ে, মি. ইসলাম একে একে ফিটনেস ট্রেইনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশের ‘এ’ দল, বয়সভিত্তিক জাতীয় দল, খুলনা বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার (ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন), ঢাকা প্রিমিয়ার লীগের দল ব্রাদার্স ইউনিয়নসহ ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাবেরও।
নিজের জীবনের কথা বলতে গিয়ে মি. ইসলাম জানান, ড্যাফোডিলের সম্মানই আমার সম্মান। যতদিন এই বিশ^বিদ্যালয়ের দায়িত্বে থাকব, ততদিন ড্যাফোডিলের সাফল্য আর নতুন নতুন মাত্রা যোগ করতেই নিমগ্ন থাকতে চাই। এজন্য চাই বিশ^বিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সকলের দোয়া।
শুধুই ক্রীড়ার জন্য যার জীবন উৎসর্গ, সেই মানুষটিকে তার জন্মদিনে স্মরণ করছি... পরম শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায়।
আদদ্বীন সজীব


Wednesday, May 9, 2018

USA এর বিপক্ষে দুর্দান্ত এক জয় তুলে নিল ড্যাফোডিল।

USA এর বিপক্ষে দুর্দান্ত এক জয় তুলে নিল ড্যাফোডিল।



আজকে নিজেদের ২য় খেলা খেলতে মাঠে নামে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। বিপক্ষ টিম ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ এশিয়া (USA). টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি টিম ক্যাপ্টেন জাতীয় দল এর ওইকেট কিপার ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান।

জয় এবং বাবু অপেনিং করে ড্যাফোডিল টিম এর। ব্যক্তিগত ৬ রানে বাবু আউট হয়ে ফিরে গেলে ক্যাপ্টেন সোহান ব্যাটিং এ আসে। ৩১ রান করে সোহান ওইকেট কিপার এর কাছে কট বিহাইন্ড হয়ে আউট হয়ে গেলে ব্যাটিং এ আসে মুস্তাকিম। এবং জয় আউট হয়ে গেলে পিচে আসে টিম এর ভাইস ক্যাপ্টেন সৈকত। শেষ দিকে এই দুইজনের অসাধারণ ব্যাটিং এ খাদের কিনারা থেকে টিমকে তুলে নিয়ে সবাইকে উপহার দিল ১৬০ রানের পাহাড় সম এক স্কোর। উল্লেখ্য যে, লাস্ট দুই ওভার এ এই দুইজন মিলে ৬১ রান নেয়।

মুস্তাকিম ৩৯ রানে অপরাজিত ছিলেন এবং সৈকত ছিলেন ৪৫ রানে অপরাজিত।

জবাবে ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ এশিয়া ব্যাট করতে এসে ড্যাফোডিল এর বোলারদের তোপের মুখে এবং পাহাড় সম এর রানের প্রেশারে দাড়াতেই পারেনি পিচে। ফলে নির্ধারিত ৭ ওভার শেষে মাত্র ৯৭ রানেই থামে সাউথ এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনিংস। এতে করে ৬৩ রানের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।

ম্যাচ অফ দ্যা ম্যাচ হন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি টিম ক্যাপ্টেন নুরুল হাসান সোহান। 
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ক্রিকেট টিম


ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ক্রিকেট টিম

লাস্ট অভারে ৩৬ রান নিয়ে উচ্ছ্বসিত মুস্তাকিম এবং পাশে ভাইস ক্যাপ্টেন সৈকত

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ক্রিকেট টিম

ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ এর ট্রফি ক্যাপ্টেন সোহান এর হাঁতে তুলে দিচ্ছেন জাতিয় টিম এর সাবেক প্লেয়ার আকরাম খান

Sunday, May 6, 2018

এস এস সি পরীক্ষার রেজাল্ট এবং তার পরবর্তী অবস্থা...নিয়ে কিছু কথা।

এস এস সি পরীক্ষার রেজাল্ট এবং তার পরবর্তী অবস্থা...নিয়ে কিছু কথা।

মেয়েটা কাদতে কাদতে বাসায় ফিরে
"মা;আমি এক সাবজেক্ট ফেল করেছি"
মা চোখ কপালে তুলে বলল "সর্বনাশ, এখন পাড়া পড়শি;আত্নীয় সজনদের মুখ দেখাবো কি করে"?
এই এক সাবজেক্ট ফেল রেজাল্ট মেয়েটার গোটা জীবনটাকেই বদলে দিল। পড়া শুনার পাঠ চুকিয়ে মেয়েটার গন্তব্য হলো রান্না ঘর;এখন থেকে পড়াশুনা বন্ধ। ফেল করা মেয়েদের সেকেন্ড চান্স বলে কিছু নেই;ছেলে হলে হয়তো উপার্জনের কথা মাথা রেখে বার বার চান্স দেওয়া যেতো।
পড়াশুনা যখন হলো না তখন ঘরের কাজ কর্ম;রান্না বান্না শিখুক;এতে বিয়েটা অন্তত ঠিক ঠাক ভাবে দেওয়া যাবে।
পরিবারের কেউ তেমন ভালো করে তার সাথে কথা বলে না;ড্রইং রুমে টিভির রিমোট যখন মেয়েটার হাতে থাকতো তখন বড় ভাই চেচিয়ে বলত "অই ফেল্লো;যা এক কাপ চা নিয়ে আয়
;পড়াশুনা না করে সব সময় টিভি দেখতি বলেই তো ঘোড়ার ডিমটা খেয়েছিস"
ছোট বোনটাকে কোন পড়া বুঝিয়ে দিতে গেলে সে ফিক করে হেসে বলতো "তুই তো ফেল করেছিস;আমাকে পড়া বুঝিতে দিতে পারবি?হি হি" 😀
বাবা তো মেয়েটার সাথে কথা বলায় বন্ধ করে দিয়েছিল।
তবুও একদিন তরকারিতে লবল বেশি হয়েছিল বলেই ধমকে বলেছিল "একটা কাজও কি তোকে দিয়ে হবে না?না হয়েছে পড়াশুনা;না হচ্ছে রান্নাবান্না;কোন গুন না থাকলে তোকে পাড়ার কাণা ল্যাংড়া বুড়োটাও বিয়ে করতে রাজি হবে না'।
সেই দিন মেয়েটা শেষ বারের মতো কেঁদেছিল;দরজা বন্ধ করে হু হু করে কেঁদেছিল;সেই কান্না কেউ দেখে নি;সেই বন্ধ দরজাটাও আর সে খুলে নি;
পরের দিন সকালে সবাই যখন রুমের দরজা ভেজ্ঞে তার ঘরে ডুকলো ততক্ষনে যে বড্ড দেরি হয়ে গিয়েছিল।মেয়েটা সিলিং ফ্যানে উড়না পেচিয়ে ঝুলে পড়েছে।
এইটা একটি কাল্পনিক ঘটনা;তবে এই সব ঘটনা সবার আড়ালে নীরবে নিভৃতে ঘটছে বলেই পত্রিকায় হেডলাইন হয়" পরীক্ষায় পাশ করতে না পারায় কিশোরীর আত্নহত্যা"।
অসময়ে সব কিছু হারিয়ে আফসোস করার চেয়ে; ঠিক সময়ে একটু সতর্ক হলে হয়তো সব কিছু হারাতে হতো না;
খারাপ রেজাল্টে সন্তানকে ধিক্কার না দিয়ে যদি তাকে নতুন করে উতসাহ দেওয়া যেতো;যদি পরিবারের সবাই বন্ধু হয়ে তার কষ্টের ভাগ নেওয়া যেতো;তাহলে হয়তো ঘটনার চিত্রটাই ঘুরিতে দেওয়া যেতো।
রেজাল্টের জন্য যদি সন্তানকে হারাতে হয় তবে সেই সন্তানের গোল্ডেন রেজাল্ট আপনার কি কাজে আসবে?
গোল কিপার মাজিদ এর অসাধারণ নৈপুণ্যে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ড্যাফোডিল।

গোল কিপার মাজিদ এর অসাধারণ নৈপুণ্যে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ড্যাফোডিল।

গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই রাউন্ড-১৬ নিশ্চিত করে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। তারই ধারাবাহিকতায় আর রাউন্ড ১৬ এর ৩য় ম্যাচে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির মুখোমুখি হয় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।

দারুন উত্তেজনা পূর্ণ এই ম্যাচে দুই দলই তাদের নৈপুণ্য বজায় রাখে। ফলে প্রথমার্ধ এবং দ্বিতীয়ার্ধে কোন দলই কোন গোল করতে সক্ষম হয়নি। তবে ম্যাচের মাঝে দুইটি সহজ সুযোগ এও ড্যাফোডিল এর গোল কিপার মাজিদ এর অসাধারণ নৈপুণ্যে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি গোল করতে পারেনি। ফলাফল ম্যাচ গোল শুন্য ড্র।

তাই ম্যাচ ট্রাইব্রেকার এ গড়ায়। ট্রাইব্রেকার এ উভয় দল ৩ টি করে শট নেয়ার সুযোগ পায়। সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির একজন প্লেয়ার যখন ট্রাইব্রেকার এর একটি শট গোল বারের উপর দিয়ে শট করেন তখনি ড্যাফোডিল এর বিজয় নিশ্চিত হয়ে যায়।

এবং ড্যাফোডিল সরাসরি কোয়ার্টার ফাইনালে চলে যায়।

আগামীকাল সকাল ৯ টায় কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ এবং যদি ড্যাফোডিল সেমিফাইনাল এ উঠে সেটাও হবে দুপুর ১২ টার দিকে। এবং যদি তারা সেমিফাইনালও জিতে যায় তাহলে দুপুর ৩ টার দিকে ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।