ড্যাফোডিলের সম্মানই তো আমার সম্মান-- ইসলাম উদ্দিন
পৃথিবীতে কিছু মানুষ থাকে, যারা শুধুই ছুটেন নিজের স্বপ্নের পিছে। কিছু মানুষ থাকে, যারা বারবার হেরে গিয়েও আশায় বুক বাঁধেন বিজয়ের। যারা কখনোই শুনতে চান না হতাশার গল্প, এমন একজন মানুষ যিনি... তাঁর ফেলে আসা জীবনের সবটা সময় কাটিয়েছেন... আর এখনো হৃদয় দিয়ে আগলে ধরে রেখেছেন ভালোবাসার ক্রিকেটকে। বলছি, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড-বিসিবি’র ১ম শ্রেণীর ফিটনেস ট্রেইনার ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ক্রীড়া প্রশিক্ষক মোহাম্মদ ইসলাম উদ্দিনের কথা।
১৯৯৯ সালে ৭ম শ্রেণীতে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান-- বিকেএসপি দিয়ে ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরু, ড্যাফোডিলের হাজারো শিক্ষার্থীর স্পোর্টস গুরু মি. ইসলামের। ছোট বেলার তার ছোট্ট স্বপ্নের পিছনে ছুটছেন প্রায় ১২ বছরের বেশি সময়। যেখানে তিনি খেলেছেন দেশের স্বনামধন্য ক্লাবে... যার দৃশ্যমান পদচারণা ছিল প্রিমিয়ার লীগেও।
বিকেএসসি থেকে এইচএসসি শেষ করার পর বিসিবি’র এই ফিটনেস প্রশিক্ষক উচ্চ শিক্ষার জন্য ভর্তি হন ইউল্যাব ইউনিভার্সিটিতে। ইউল্যাব থেকে জার্নালাইজম ডিপার্টমেন্টে ¯œাতক পড়াশুনা শেষে তিনি ¯œাতক্তোর করেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে। সময়ের পালা বদলের সাথে সাথে পারিবারিক কারণে এরই মধ্যে ড্যাফোডিলের এই প্রশিক্ষক ইতি টানেন তাঁর খেলুড়ে জীবনের। তবে, হৃদয়ের এই ক্রিকেট থেকে পারেন নি সরে আসতে; তাই তো আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ নিয়ে, মি. ইসলাম একে একে ফিটনেস ট্রেইনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশের ‘এ’ দল, বয়সভিত্তিক জাতীয় দল, খুলনা বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার (ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন), ঢাকা প্রিমিয়ার লীগের দল ব্রাদার্স ইউনিয়নসহ ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাবেরও।
নিজের জীবনের কথা বলতে গিয়ে মি. ইসলাম জানান, ড্যাফোডিলের সম্মানই আমার সম্মান। যতদিন এই বিশ^বিদ্যালয়ের দায়িত্বে থাকব, ততদিন ড্যাফোডিলের সাফল্য আর নতুন নতুন মাত্রা যোগ করতেই নিমগ্ন থাকতে চাই। এজন্য চাই বিশ^বিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সকলের দোয়া।
শুধুই ক্রীড়ার জন্য যার জীবন উৎসর্গ, সেই মানুষটিকে তার জন্মদিনে স্মরণ করছি... পরম শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায়।
আদদ্বীন সজীব
0 comments: